Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
রাজাগঞ্জ খেয়াঘাট
স্থান
রাজাগঞ্জ, কানাইঘাট, সিলেট।
কিভাবে যাওয়া যায়
সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে থেকে কানাইঘাট উপজেলা হয়ে উল্লেখিত স্থানে যেতে হয়।
বিস্তারিত

সিলেট আম্বর খানা থেকে সিএনজি তে তেমুখি এসে সোনাতলার সিএনজি তে পুনরায় উঠে আসলে এই মসজিদ টি পাওয়া যায়। থেমুখি-শিবের বাজার রাস্তার মধ্যে এটি অবস্থিত।

১৯৪৮ সালে আব্দুর রহমান নামে একজন ব্যক্তি এই মসজিটি নির্মাণ করেণ। এটি প্রাচীন নিদর্শণ এর মধ্যে একটি । তিন গুম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি আজও পূর্বের অবস্তানে অটল রয়েছে। ১৫০ বছর পুরোনো মসজিদটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

 

মসজিদ হবার জন্য শ্রেফ নির্ধারিত পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র স্থান হলেই হয়ে যায়। তবে সেই মুহাম্মদের [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুগ থেকে মসজিদের একটা অবকাঠামোগত আলাদা বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠেছে। একটা মসজিদে সাধারণত নামায আদায়ের জন্য নির্ধারিত একটি অংশ বা ঘর থাকে। তার সম্মুখভাগে একটা বর্ধিত অংশ থাকে, যাকে বলে মিহরাব। অনেক মসজিদেরই সুবিশাল গম্বুজ, উঁচু মিনার এবং বৃহদাকার প্রাঙ্গন দেখা যায়। মসজিদে আযান দেয়ার জন্য নির্ধারিত একটি অংশ বা ঘর থাকে। এইখানে আযানের মাধ্যমে প্রথমত মুয়াযযিন নামাযের সময় হলে জামাতে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে মসজিদ থেকে উচ্চস্বরে আযান দিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। তারপর ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে পিছনের লোকদিগকে (মোক্তাদি) নামাযে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া জামাতে ফরয নামায আদায়ের ক্ষেত্রে মুয়াযযিন সাহেব ইক্বামাহ্‌ দিয়ে থাকেন। আর খাদেম ইমাম সাহেব, মুয়াযযিন সাহেব, মোক্তাদিদের এবং মসজিদের খেদমতে নিয়োজিত থাকেন। নামাযের স্থলের বাইরের দিকে বারান্দা থাকে। যেহেতু ইসলামে মসজিদ কেবল নামায আদায়ের জন্যই নয়, বরং একইসাথে রাজনীতি ও সমাজ পরিচালনার কেন্দ্র, তাই এই বারান্দাও মসজিদের স্থাপত্য কাঠামোর আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।

 

ইসলামের পবিত্র মাস রমজানে মুসলমানেরা দিনের বেলায় রোজা রাখে। তাই আনেক মসজিদে সূর্যাস্তের পর মাগরিব নামাজের শেষে ইফতারের আয়োজন থাকে। এই ইফতারের খাদ্য সাধারণত এলাকার জনসাধারণ নিয়ে আসে এবং একত্রে বসেই খাওয়া দাওয়া হয়। রমজানে দান-খয়রাত করা আনেক ফজিলতপূর্ণ বলে আনেকেই মসজিদে অর্থ দান করে এবং তা দিয়ে গরীব দুঃস্থদের জন্য সেহেরী ও ইফতারের আয়োজন হয়।

রমজান মাসে প্রতিরাতের এশার নামাজের পর বিশেষ নামাজ (তারাবিহ নামাজ) পড়া হয়। এই নামজে ঘন্টাখানেক সময় নেয়। সাধারণত যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ আল কোরান মুখস্ত রাখেন (এদেরকে কোরানে হাফেজ বলে) তিনি ইমামিত করেন এবং প্রতিদিন ক্রমানুসারে কোরানের আংশবিশেষ তেলোয়াত (আবৃতি করা) করেন। কখনো কখনো একাধিক ব্যক্তি উপরোক্ত কাজটি পালাক্রমে সম্পূর্ণ করেন।

রমজানের শেষ দশদিনে বড় মসজিদগুলোতে লাইলাতুল কদরের সারারাতব্যপী ইবাদত বন্দিগীর করা হয়। লাইলাতুল কদরের রাত্রে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর প্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয়।  তাই সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত, মসজিদগুলোতে সমবেত মুসলমানদের সারা রাতব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামী শিক্ষা দেওয়া হয় এবং পালাক্রমে খাদ্য সরবরাহ করা হয়।

ইসলামের বিধান অনুসারে, বড় মসজিদগুলোতে, আশেপাশের মুসলমান সম্প্রদায় থেকে অন্তত একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ইতিকাফ করতে হয়। ইতিকাফকারী রমজানের শেষ দশদিন মসজিদেই অবস্থান করেন এবং প্রার্থণা ও ইসলামী শিক্ষা গ্রহণে নিয়োজিত থাকেন। তাই সম্প্রদায়ের অন্যান্য মুসলিমরা এইসময় তার খাদ্য বা অন্যান্য প্রয়োজন মিটানোর দায়িত্ব পালন করে।